মাল্টিমিটার কাকে বলে | মাল্টিমিটার এর কাজ কি

মাল্টিমিটার এর কাজ কি আমরা যারা ইলেকট্রিক্যাল ও ইলেকট্রনিক্স ইঞ্জিনিয়ারিং কমপ্লিট করেছি তাদের সকলের জানা। কিন্তু অনেকে আছেন যাদের এখনো মল্টিমিটার সম্পর্কে তেমন কোন ধারনা নেই। যারা মাল্টিমিটার কিভাবে ব্যবহার করতে হয় তা সম্পর্কে জানতে চান তাদের জন্য আজকের পোস্টটি লেখা।

মাল্টিমিটার এর কাজ কি

আপনারা আজকের পোস্ট পড়ে মাল্টিমিটার নিয়ে আরো যে বিষয়গুলো জানতে পারবেন তা হলো- মাল্টিমিটার কাকে বলে, মাল্টিমিটার দিয়ে কি মাপা হয়, মাল্টিমিটার ব্যবহারের নিয়ম, ডিজিটাল মাল্টিমিটার ব্যবহার, ডিজিটাল মাল্টিমিটার এর দাম কত, মাল্টিমিটার ব্যবহারের ‍সুবিধা নিয়ে।

মাল্টিমিটার কাকে বলে

মাল্টিমিটার (Multimeter) এমন একটি ইলেকট্রনিক্স যন্ত্র যার যাহায্যে কারেন্ট, ভোল্টেজ ও রেজিস্ট্যান্স পরিমাপ করা হয়ে থাকে। মাল্টিমিটারকে (Multimeter) অনেকে অ্যাভোমিটার (AVO meter) নামেও চিনে থাকে। AVO মিটার Ampere, Volt, Ohms ইত্যাদির সংক্ষিপ্ত রুপ।

AVO দিয়ে এখানে অ্যাম্পিয়ার, ভোল্টেজ ও ওহম কে বুঝানো হয়েছে। যেহেতু একটি মিটার দিয়ে অনেকগুলো রাশি পরিমাপ করা যায় তাই অ্যাভো (AVO) মিটারকে মাল্টিমিটার বলা হয়ে থাকে। মাল্টিমিটার (Multimeter) কে মাল্টিটেস্টার ও বলা হয়ে থাকে।

বর্তমানে কিছু মাল্টিমিটার রয়েছে যেখানে কারেন্ট, ভোল্টেজ ও রেজিস্ট্যান্স মাপার পাশাপাশি ক্যাপসিটরের ফ্যারাড পরিমাপ করা যায়, ট্রানজিস্টরের বেস, ইমিটার, ও কালেক্টর পরিমাপের মাধ্যমে ট্রানজিস্টরটি ভালো আছে কিনা তা চেক করা যায়।

মাল্টিমিটার কত প্রকার

ব্যবহার ও কাজের ধরনের উপর ভিত্তি করে মাল্টিমিটার দুই প্রকার। যথা-
  1. এনালগ মাল্টিমিটার (Analog Multimeter)
  2. ডিজিটাল মাল্টিমিটার (Digital Multimeter)
এনালগ মাল্টিমিটারঃ যে মিটারের সাহায্যে ডিসপ্লেতে কাঁটা গুনে বর্তনিতে প্রবাহিত কারেন্ট, ভোল্টেজ ও রেজিস্ট্যান্স পরিমাপ করা হয় তাকে এনালগ মাল্টিমিটার দিয়ে। এনালগ মাল্টিমিটারে একটি ডিসপ্লে, একটি এডজাস্টেবল নব, একটি সিলেক্টর নব, একটি পজেটিভ প্রোব এবং একটি নেগেটিভ প্রোব থাকে।


ডিজিটাল মাল্টিমিটারঃ যে মিটারের সাহায্যে সেভেন সিগমেন্ট ডিসপ্লের মাধ্যমে ডিসপ্লেতে সরাসরি কারেন্ট, ভোল্টেজ ও রেজিস্ট্যান্স এর পরিমাপ দেখা যায় তাকে ডিজিটাল মাল্টিমিটার বলে। ডিজিটাল মাল্টিমিটারে একটি ডিজিটাল ডিসপ্লে অথবা নিউমেরিক ডিসপ্লে অথবা এলইডি ডিসপ্লে, সিলেক্টর নব, পজেটিভ প্রোব এবং নেগেটিভ প্রোব থাকে।

ডিজিটাল মাল্টিমিটারের কারেন্ট পরিমাপের জন্য আলাদা দুইটি পয়েন্ট থাকে যেখানে প্রোব লাগিয়ে কারেন্ট পরিমাপ করা হয়ে থাকে। ডিজিটাল মাল্টিমিটার ব্যবহারের মাধ্যমে বিদ্যুতের বিভিন্ন মান নির্ণয় করা হয়। যেমন- কারেন্ট, ভোল্টেজ, এবং রেজিস্টেন্স।

বিশেষ করে বাংলাদেশে ইঞ্জিনিয়াররা ইলেকট্রিকাল এবং ইলেকট্রনিক্স বিভাগে ডায়াগনসিস টুল হিসেবে ব্যবহার করে থাকে। তুলনামূলক মাল্টিমিটার ফলাফল প্রদানের দিক থেকে শীর্ষে তাই বিশ্ব ব্যাপী এর চাহিদা রয়েছে অনেক। বাংলাদেশে এর অনেক চাহিদা রয়েছে এবং বিভিন্ন ধরণের বা ব্রান্ডের মাল্টিমেটের ও পাওয়া যায়।

মাল্টিমিটার এর কাজ কি

আমরা মাল্টিমিটার কি? তা সম্পর্কে একটি ভালো ধারনা ইতিমদ্ধে পেয়েছি, সেখান থেকে যদি বলি তাহলে মাল্টিমিটা এর কাজ হলো কারেন্ট, ভোল্টেজ ও রেজিস্ট্যান্স পরিমাপ করা। আমরা যারা বিভিন্ন ইলেকট্রিক্যাল বর্তনীর কাজ সম্পাদন শেষে কারেন্ট বা ভোল্টেজ পরিমাপ করতে চাই তাদের জন্য মাল্টিমিটার খুবই গুরুত্বপূর্ন একটি পরিমাপক ডিভাইস।

অনেকে প্রশ্ন করেন AVO মিটার দিয়ে কি কি পরিমাপ করা যায়? তাদের প্রশ্নের সঠিক উত্তর হলো AVO মিটারের সাহায্যে কারেন্ট, ভোল্টেজ ও রেজিস্ট্যান্স পরিমাপ করা যায়।

ডিজিটাল মাল্টিমিটার ব্যবহার

AVO মিটারের দিয়ে কারেন্ট, ভোল্টেজ ও রেজিস্ট্যান্স পরিমাপ করা যায় যায় বলে এ মিটারকে মাল্টিমিটার বলে। ডিজিটাল মাল্টিমিটার ব্যবহারের সুবিধা অনেক। নিচে মাল্টিমিটার ব্যবহারের সুবিধা দেওয়া হলো-
  • ডিজিটাল মাল্টিমিটার AC/DC কারেন্ট পরিমাপ করতে ব্যবহার করা হয়।
  • ডিজিটাল মাল্টিমিটার দিয়ে AC/DC ভোল্টেজ পরিমাপ করা হয়।
  • মাল্টিমিটার দিয়ে রেজিস্ট্যান্স পরিমাপ করা হয়ে থাকে।
  • ক্যাপাসিটরের মান পরিমাপ করতে ডিজিটাল মাল্টিমিটার ব্যবহার করা হয়।
  • ট্রানজিস্টরের বেস, ইমিটার ও কালেক্টর পয়েন্ট নির্ণয় করতে ডিজিটাল মাল্টিমিটার ব্যবহার করা হয়।
  • ইলেকট্রনিক্স পার্স ভালো নাকি খারাপ তা নির্ণয় করতে মাল্টিমিটার ব্যবহার করা হয়।
  • সার্কিটের কন্টিনিউটি টেস্ট করতে (এনালগ/ডিজিটাল) মাল্টিমিটার ব্যবহার করা হয়।
  • শর্ট সার্কিট টেস্ট করতে (এনালগ/ডিজিটাল) মাল্টিমিটার ব্যবহার করা হয়।
  • ওপেন সার্কিট টেস্ট করতে (এনালগ/ডিজিটাল) মাল্টিমিটার ব্যবহার করা হয়।

এনালগ মাল্টিমিটার এর প্রতিটি অংশের কাজ

এনালগ মাল্টিমিটারে আমরা অনেকগুলো অপশন দেখতে পাই যা দেখে অনেকে ভয় পায়, আজকে আমি এনালগ মাল্টিমিটারের প্রতিটি অংশ খুব সহজভাবে তুলে ধরার চেষ্টা করবো। যারা মাল্টিমিটার ব্যবহারের নিয়ম সম্পর্কে জানতে হলে আগে মাল্টিমিটারের প্রতিটি অংশের নাম আগে জানা জরুরী।

১। মাল্টিমিটারের ডিসপ্লেঃ আলোচনার প্রথমে আমরা এনালগ মাল্টিমিটারের ডিসপ্লে নিয়ে কথা বলবো। মাল্টিমিটারের সকল মান ডিসপ্লের মাধ্যমে দেখা যায়। আমরা যখন কোন ডিভাইসের মান জানতে চাই সেখানে মাল্টিমিটারের সিলেক্টর নব প্রদান করলে আমরা উক্ত ডিভাইসের একটি মান পাবো যা ডিসপ্লেতে দেখা যায়।

২। পয়েন্টারঃ ডিসপ্লের মাঝে একটি কাটা থাকে যাকে পুরো ডিসপ্লে জুড়ে নড়াচড়া করতে দেখা যায়, এ কাটাটিকে পয়েন্টার বলে। এই পয়েন্টার দেখে আমরা কোন কিছুর মান কত তা জানতে পারি। পয়েন্টার অনেক সময় কমবেশি অবস্থানে থাকে সেক্ষেত্রে আমরা পয়েন্টারের নিচে লক্ষ করলে একটি স্ক্র থাকে যা নড়াচড়া করার মাধ্যমে পয়েন্টার কে সঠিক অবস্থানে নিয়ে আসতে পারি।

৩। এডজাস্টেবল নবঃ এডজাস্টেবল নবের গুরুত্ব অনেক এনালগ মাল্টিমিটারে। কারন মানের সঠিকতা ঠিক রাখার জন্য পয়েন্টারটিকে সবসময় জিরো (০) তে সেট করে নিতে হয়। আর এই শূন্য মানে নেওয়ার জন্য এডজাস্টেবল নবটি কাজ করে থাকে। কোন কিছু পরিমাপ করার আগে প্রথমে পয়েন্টারটিকে এডজাস্টেবল নবের মাধ্যমে শূন্য (০) তে সেট করে নিতে হবে।


৪। সিলেক্টর নবঃ মাল্টিমিটারে সিলেক্টর নবের সাহায্যে বিদ্যুতের কোন রাশি পরিমাপ করতে চাই সেখানে নিয়ে গিয়ে মূলত কারেন্ট, ভোল্টেজ ও রেজিস্ট্যান্স পরিমাপ করা হয়। সিলেক্টর নব মূলত রোটারি সুইচের মত। সুইচের পজিশন যদি ভোল্টেজের ঘরে থাকে তাহলে  ডিসপ্লে থেকে ভোল্টেজ এর পরিমান জানতে পারবো।

৫। পজেটিভ ও নেগেটিভ প্রোবঃ আমরা যে ডিভাইসের মান পরিমাপ করতে চাই উক্ত ডিভাইসের সাথে সংযোগ স্থাপনের জন্য পজেটিভ ও নেগেটিভ প্রোব ব্যবহার করা হয়। চিত্রে সুন্দর করে পজিটিভ ও নেগেটিভ প্রোবের অবস্থান তুলে ধরা হয়েছে। পজেটিভ প্রোব হিসাবে লাল তার ব্যবহার করা হয়। নেগেটিভ তার হিসাবে কালো তার ব্যবহার করা হয়। 

এসি সাপ্লাই দিয়ে কিছু পরিমাপ করতে লাল তার ও কালো তারের পজিশন যে কোন অবস্থানে রাখলে আমরা মান পেয়ে থাকি। কিন্তু ডিসি সাপ্লাইয়ের জন্য অবশ্যই পজেটিভ অংশে লাল তার ও নেগেটিভ অংশে কালো তার ধরতে হবে।

৬। আউটপুটঃ আমরা একটু লক্ষ করলে দেখতে পারবো এনালগ মাল্টিমিটারে আউটপুট নামে একটি বাটন রয়েছে যার সাহায্যে বাহিরে সিগনাল আনা নেওয়া করা যায়। কিন্তু বাস্তবিক কাজে আউটপুট বাটনের তেমন কোন কাজ লক্ষ করা যায় না।

৭। ইন্ডিকেটর লাইটঃ মাল্টিমিটার দিয়ে যদি আমরা কোন পরিবাহী পদার্থের কন্টিনিউটি টেস্ট করি তাহলে মাল্টিমিটারের কর্ণারে একটি লাইট জ্বলে উঠতে দেখি একে ইন্ডিকেটর লাইট বলে। কোন কিছু দ্রুত সময়ে চেক করার জন্য ইন্ডিকেটর লাইট ব্যবহার করা হয়।

মাল্টিমিটার ব্যবহারের নিয়ম

আমরা মাল্টিমিটার কোথায় ব্যবহার করা হয় তা সম্পর্কে ইতিমদ্ধে ধারনা পেয়ে গেছি। কিন্তু কোন পদ্ধতি অবলম্বন করে আমরা মিটারটিকে পরিচালনা করবো তা জানা দরকার সকলের তাই নিচে মাল্টিমিটার ব্যবহারের নিয়ম তুলে ধরা হলো।

মাল্টিমিটার দিয়ে এসি ভোল্টেজ পরিমাপের নিয়ম

মাল্টিমিটার দিয়ে ১০ ভোল্ট থেকে শুরু করে ১০০০ ভোল্ট পর্যন্ত সকল ভোল্টেজ পরিমাপ করতে পারবো। এসি ভোল্টেজ মাপার জন্য সিলেক্টর নব অবশ্যই এসি ভোল্টেজের ঘরে সিলেক্ট করে দিতে হবে। এখন প্রধান যে সমস্যা তা হলো আমরা এসি ভোল্টেজের কোন ঘরে সিলেক্টর নব রাখবো।


আমরা যে পরিমানের ভোল্টেজ পরিমাপ করবো তার একটা ধারনা থাকতে হবে। যেমন- আমরা জানি বাসাবাড়ির ব্যবহৃত ভোল্টেজ হলো ২২০ ভোল্ট থেকে ২৪০ ভোল্ট। এখন মিটারে এর রেঞ্জটি খুঁজতে হবে। আমরা দেখতে পারবো মিটারে ২৫০ ভোল্টের একটি রেঞ্জ আছে, সেখানে সিলেক্টর নবটি রাখতে হবে।

যদি ২৫০ ভোল্টের ঘরে আমরা সিলেক্টর নব রাখি তাহলে ২৫০ ভোল্টের নিচে যত ভোল্ট থাকুক সবগুলো রেঞ্জ পরিমাপ করা যাবে। আশাকরি বুঝতে পেরেছেন।

মাল্টিমিটার দিয়ে ডিসি ভোল্টেজ পরিমাপের নিয়ম

মাল্টিমিটার দিয়ে আমরা ০.১ ভোল্ট থেকে শুরু করে ১০০০ ভোল্ট পর্যন্ত সকল ভোল্টেজ পরিমাপ করতে পারবো। ডিসি ভোল্টেজ মাপার জন্য সিলেক্টর নব অবশ্যই ডিসি ভোল্টেজের ঘরে সিলেক্ট করে দিতে হবে। এখন প্রধান যে সমস্যা তা হলো আমরা ডিসি ভোল্টেজের কোন ঘরে সিলেক্টর নব রাখবো।

আমরা যে পরিমানের ভোল্টেজ পরিমাপ করবো তার একটা ধারনা থাকতে হবে। যেমন- মোবাইলের ব্যাটারির ব্যবহৃত ভোল্টেজ হলো ৩.৭ ভোল্ট। এখন আমাদের মিটারে এর রেঞ্জটি খুঁজতে হবে। আমরা দেখতে পারবো মিটারে ১০ ভোল্টের একটি রেঞ্জ আছে, সেখানে সিলেক্টর নবটি রাখতে হবে।

আমরা ১০ ভোল্টের রেঞ্জে সিলেক্টর নব রেখে মোবাইলের ব্যাটারির ভোল্টেজের মান জানতে পারি। তবে মান কত আসলো তা দেখার জন্য ডিসপ্লেতে ভালোকরে লক্ষ রাখতে হবে।

একই পদ্ধতি অনুসরন করে মাল্টিমিটার দিয়ে কারেন্ট ও রেজিস্ট্যান্স পরিমাপ করতে পারবেন। যদি কারেন্ট ও রেজিস্ট্যান্স পরিমাপ করতে কোন প্রকারের অসুবিধার সম্মুখিন হন অবশ্যই আমাদের কমেন্ট করে জানিয়ে দিবেন। মাথায় রাখবেন যে রেঞ্জ পরিমাপ করবো সিলেক্টর নব সেখানে নিয়ে রাখতে হবে।

ডিজিটাল মাল্টিমিটার এর দাম কত

আমরা যারা মাল্টিমিটার কিনতে চাই তাদের অনেকের মনে প্রশ্ন থাকে এনালগ মাল্টিমিটার কিনব নাকি ডিজিটাল মাল্টিমিটার কিনবো। দুইটি মিটারের কাজ কিন্তু একই, আপনি যদি এনালগ মাল্টিমিটার ভালো করে বুঝেন তাহলে ডিজিটাল মাল্টিমিটার ও বুঝতে পারবেন। আপনি যেটাতে ভালো অনুভব করেন আপনি সেটাই ক্রয় করবেন।

এখন অনেকে বলতে পারেন এনালগ মাল্টিমিটার এর দাম কত? তাদের জন্য বলে রাখি ২৬০ টাকা থেকে শুরু করে ৪৫০ টাকার ভিতরে বিভিন্ন কোম্পানির এনালগ মাল্টিমিটারগুলো পাওয়া যায়। আপনারা নিজেদের বাজেন অনুযায়ী পছন্দ করে মিটার ক্রয় করতে পারেন।


যদি ডিজিটাল মাল্টিমিটার এর দাম কত তা জানতে চান তাহলে বলি আপনারা নন ব্রান্ডের যে সকল ডিজিটাল মাল্টিমিটার আছে এগুলো ২৫০ টাকা থেকে শুরু করে ৩৫০ টাকার ভিতরে কিনতে পারবেন। আর যদি ভালো মানের ডিজিটাল মাল্টিমিটার কিনেন তাহলে ৭৫০ টাকা থেকে ৯০০ টাকা লাগতে পারে।

ডিজিটাল মাল্টিমিটার কেনার আগে কি কি দেখতে হবে?

  • ডিজিটাল মাল্টিমিটার কেনার আগে অবশ্যই দেখতে হবে এই মাল্টিমিটার দ্বারা কত সর্ব নিম্ন থেকে কত সর্বোচ্চ পর্যন্ত বৈদ্যুতিক মান নির্ণয় করা যায়।
  • মাল্টিমিটার কেনার আগে অবশ্যই দেখতে হবে যে এটা সঠিক ফলাফল দেয় কিনা বা কোনো ত্রুটি আছে কিনা তা নিশ্চিত হওয়া।
  • আপনি কি কাজে মাল্টিমিটার কিনবেন তার প্রয়োজনীয়তা মিটায় কিনা সে ব্যাপারে নিশ্চিত হওয়া।
  • অবশ্যই বাংলাদেশে আপনি যে মাল্টিমিটার কিনবেন চান সেই মাল্টিমিটারের অনুমোদিত পরিবেশোক থেকে নিতে হবে। এতে করে আপনার কাজের মাল্টিমিটারের কোনো প্রকার ত্রুটি দেখা দিলে তা আবার যেন পরিবর্তন করতে পারেন।
  • আপনি যদি একজন ইঞ্জিনিয়ার হিসেবে Online Shop থেকে অর্ডার করে থাকেন তাহলে আপনাকে অবশ্যই সত্যতা যাচাই করে অর্ডার করা উচিত। প্রোডাক্টের ওয়ারেন্টি বা ক্যালিব্রেশন সার্টিফিকেট আছে কিনা এবং যার থেকে প্রোডাক্ট নিচ্ছেন তার অনুমোদন আছে কিনা এসকল যাচাই করে তারপর কেনা উচিত।

এনালগ মাল্টিমিটার ব্যবহারের নিয়ম

শেষকথাঃ

যারা এতক্ষন ধরে আমাদের মাল্টিমিটার নিয়ে পুরো পোস্ট পড়লেন আশাকরি অনেক কিছু জানতে পেরেছেন। বিশেষ করে মাল্টিমিটার এর কাজ কি, মাল্টিমিটার কাকে বলে, মাল্টিমিটার দিয়ে কি মাপা হয় তা সম্পর্কে স্পষ্ট ধারনা পেয়েছেন। পুরো পোস্ট আপনাদের অনেক কাজে দিবে বলে আশা করছি।

যদি মাল্টিমিটার ব্যবহারের নিয়ম না বুঝে থাকেন আমাদের কমেন্ট করে জানিয়ে দিতে পারেন। আর এমন নিত্যনতুন পোস্ট পেতে সবসময় আমাদের ওয়েবসাইট অনুসরন করুন। -ধন্যবাদ।

আরো পড়ুনঃ

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

উপায় কী এর নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url