বিনা পুজিতে অনলাইনে ব্যবসার অসাধারন ১০টি আইডিয়া

আমরা যারা ঘরে বসে বেকার সময় পার করছি, ভাবতেছেন কোন একটি ব্যবসা শুরু করবেন। কিন্তু কিভাবে শুরু করবেন বা কোন বিষয়ের উপর ব্যবসা শুরু করবেন এটা নিয়ে চিন্তিত, আমরা আজকে আপনাদের সামনে বিনা পুজিতে অনলাইনে ব্যবসার অসাধারন ১০টি আইডিয়া শেয়ার করবো যা আপনাকে কোন বিষয় নিয়ে ব্যবসা শুরু করবেন সেটা সম্পর্কে ভালো ধারনা দিবে। আমরা জানি ব্যবসা হলো হালাল একটি পন্থা এবং ব্যবসায় লাভের পরিমানও বেশি। কিন্তু আমরা এটা জানি ব্যবসা করতে অনেক টাকা ইনভেস্ট করতে হয় এ ভয়ে অনেকে ব্যবসা করতে চান না, আবার অনেকে খুজে থাকেন অল্প পুঁজিতে কি কি ব্যবসা করা যায়। আমরা আজকের আলোচনায় দেখাবো কিভাবে বিনা পুজিতে ব্যবসা করা যায় এমন কয়েকটি আইডিয়া নিয়ে। আপনারা যদি বিনা পুজিতে বাড়িতে বসে অনলাইনে ব্যবসা করতে চান তাহলে আজকের পোস্টটি আপনার জন্য। আমাদের গুগল নিউজ ফলো করতে পারেন।

বিনা পুজিতে অনলাইনে ব্যবসার অসাধারন ১০টি আইডিয়া


১। ফ্রিল্যান্সিং করে অর্থ উপার্যন

বর্তমানে ফ্রিল্যান্সিং এর নাম শুনেনি এমন কেউ নেই। বাংলাদেশের অনেক মেধাবী যুবক আছে যারা সরকারী চাকুরীর পিছনে না গিয়ে তাদের মেধাকে কাজে লাগিয়ে অনলানের বিভিন্ন মাধ্যমে লবিং করে টাকা উপার্যন করছে। ফ্রিল্যান্সিং হলো এমন একটি পদ্ধতি যেখানে আপনি আপনার বুদ্ধিকে কাজে লাগিয়ে ঘরে বসে আরেকজনের কাজ করে নিজে অর্থ উপার্যন করতে পারেন। বর্তমানে এমন অনেক ওয়েবসাইট আছে যারা তাদের নিজস্ব পেজে স্বারা বিশ্বের অনেক কাজ প্রদান করে থাকে। আর আমরা যে কাজগুলো পারি সে সকল ওয়েবসাইটে গিয়ে যদি আমরা তাদের কাজগুলো সম্পাদন করে দেই তাহলে তারা আমাদের কাজের বিনিময়ে একটা অর্থ দিবে- এটাই মূলত ফ্রিল্যান্সিং। অনেকে ভাবেন আমাদের তো এসকল কাজ জানা নাই আমরা কিভাবে ফ্রিল্যান্সিং করবো? বর্তমানে যাদের স্মার্টফোন বা কম্পিউটার আছে, তারা ইউটিউবে হাজারো ভিডিও আছে ফ্রিল্যান্সিং এর উপরে। সে সকল ভিডিও দেখে দেখে আস্তে আস্তে আপনিও ফ্রিল্যান্সার হয়ে যেতে পারেন। এতে আপনার কোন প্রকার ইনভেস্ট লাগবেনা। আর কারো কাছে ধরনা ধরে চাকুরী নেওয়ার দরকারও হবে না। আপনি একবার যদি কোন বায়ার বা কোম্পানির বিস্বস্ত হতে পারেন তাহলে আপনার আর কাজের অভাব হবে না এবং পিছনে ফিরে তাকাতে হবে না।

২। ই- কমার্স ব্যবসা করে অর্থ উপার্যন

ই-কমার্স কে অনেকে ইলেকট্রনিক্স ব্যাবসাও বলে থাকে। অনলাইনে কেনাকাটা বা টাকা উপার্যন সংক্রান্ত বানিজ্যকে ই-কমার্স বলা হয়ে থাকে। যেমন- আপনার একটি ওয়েবসাইট আছে আর আপনি সে ওয়েবসাইটে কোন পন্যর উপর প্রচার চালালেন, কেউ যদি আপনার ওয়েবসাইট থেকে উক্ত পন্যটি কিনে থাকে তাহলে আপনার অর্থ উপার্যন হবে এটা একটা ই- কমার্স। অথবা ফেসবুক আমরা সকলে চালাই ফেসবুকে আপনি বর্তমানে চলছে বা দরকার এমন কোন পন্য নিয়ে এডদিয়ে বিজনেস করতে পারেন। আপনার পন্য যদি কেউ কিনে ফেসবুক থেকে তাহলে এটাও একটা ই-কমার্স। আবার আপনার একটি ইউটিউব চ্যনেল থাকতে পরে সেখানে আপনার পন্যগুলো ভিডিও করে আপলোড করার মাধ্যমে ব্যবসা করতে পারেন। অর্থাৎ ইলেকট্রনিক মিডিয়া ব্যবহার করে যদি কেউ বিজনেস করে সেটাই মূলত ই-কমার্স। এ ব্যবসায় একটু বেশি সময় দিতে হবে কিন্তু যদি আপনি লেগে থাকেন তাহলে কখনো পরবর্তীতে পিছে ফিরে তাকাতে হবে  না।

৩। এফিলিয়েট মার্কেটিং করে আয় করার উপায়

এফিলিয়েট মার্কেটিং যদিও অল্প সময় ধরে আমরা শুনে আসছি, কিন্তু এ ব্যবসাটা অনেক মজার। এ ব্যবসায় আপনার কোন প্রকার পন্য থাকতে হবে না। আপনি আরেকজনের পন্য বিক্রি করে অনেক টাকা আয় করতে পারেন। এফিলিয়েট মার্কেটিং সম্পর্কে যদি উদাহরন দেই তাহলে ধরুন আপনার একটি কোম্পানি আছে যেখানে প্রায় ১০০ টি প্রোডাক্ট আছে। সে প্রোডাক্টগুলো আপনি বিক্রি করবেন, যারা আপনার পন্য নিয়ে ব্যবসা করবে তাদেরকে আপনি একটা লিং দিয়ে দিলেন। তারা এ লিংক তাদের ফেসবুক বা ওয়েবসাইটে আপনার পন্যগুলো দেখিয়ে মানুষের কাছে বিক্রি করলো। তাদের লিংক থেকে যত বেশি পন্য মানুষ ক্রয় করবে প্রতিটি পন্যের জন্য আলাদা পার্সেন্ট বা টাকা তার একাউন্টে যুক্ত হবে। যেমন আপনি এমাজনে গিয়ে আপনি একটি এফেলিয়েট একাউন্ট খুললেন, এমাজন আপনাকে তাৎক্ষনিক একটা একাউন্ট দিয়ে দিবে যার একটি লিংক থাকবে সে লিংক ব্যবহার করে আপনি আপনার ফেসবুক, টুইটার, ওয়েবসাইট ইত্যাদিতে প্রডাক্টের ছবি দিয়ে বর্ননা সুন্দর করে লিখে নিচে লিখে দিতে পারেন আপনি যদি আমাদের পন্যটি ক্রয় করতে চান তাহলে নিচের ক্রয় বাটনে ক্লিক করুন। কেউ যদি আপনার এ বিজ্ঞাপন দেখে পন্যটি ক্রয় করেন তাহলে আপনার একাউন্টে নির্দিষ্ট পরিমান টাকা জমা হবে। এটাই মূলত এফেলিয়েট মার্কেটিং। বর্তমানে বাংলাদেশেরও অনেক সাইট আছে যারা কিনা এফেলিয়েট প্রোগ্রাম চালু করছে। আপনারা তাদের ওয়েবসাইটের এফেলিয়েট প্রোগ্রমে যুক্ত হয়ে তাদের সাথে ব্যবসা করতে পারেন।

৪। অনলাইট ট্রেনিং দিয়ে আয় করার উপায়

আমাদের একটা খারাপ অভ্যাস আছে, আমরা শুধু আরেকজনের মত হতে চাই আর সে ব্যাক্তির পদাঙ্ক অনুসরন করি। কিন্তু আল্লাহ যেমন প্রতিটা চেহারা আলাদা করে বানিয়েছেন ঠিক প্রতিটি মানুষকে আলাদা আলাদা বুদ্ধিমত্তা দিয়ে তৈরি করেছেন। আপনারা আপনাদের সেই আলাদা পছন্দের জিনিস সিখে ফেলুন অথবা যারা যে বিষয়ে খুবই অভিজ্ঞ তারা সে বিষয়গুলোর উপর ভিডিও করে অনলাইনে আপলোড করে আয় করতে পারেন। মনে করেন কেউ খুব ভালো রান্না করতে পারে- আপনি রান্নার উপর বিভিন্ন আইটেমের ভিডিও করে সেগুলো আপলোড করেন। অথবা আপনি সেলাই ভালো করেন আপনি সেলাইয়ের উপর ভিডিও তৈরি করতে পারেন। আপনি মোবাইল সার্ভেসিং পারেন বা ইলেকট্রিক্যাল বিভিন্ন কাজ পারেন আপনি অনলাইনে এসবের উপর ভিডিও আপলোড করতে পারেন। যারা ভিডিও দেখবে তাদের দেখার কারনে আপনি একটা মুনাফা পাবেন। অথবা সরাসরি ব্যাচভিত্তিক ট্রেনিং প্রদান করতে পারেন। যেমন- আপনি ইলেকট্রিক্যাল ওয়্যারিং এর কাজ পারেন, আপনি এর উপর একটা ট্রেনিং সেন্টার খুলতে পারেন, যারা আপনার এ কোর্স করবে তাদের থেকে একটা নির্ধারিত অর্থ নিয়ে আপনি তাদের ট্রেনিং সেবা প্রদান করতে পারেন।

৫। আর্টিকেল লিখে টাকা আয় করার উপায়

আপনারা যার এ মূহুর্তে আমার লেখা পড়ছেন মনোযোগ দিয়ে, তারা সবাই জানেন আমি কষ্ট করে সময় দিয়ে এ লেখাটি লিখেছি, হঠাৎ করে তো আর লেখা হয়ে যায় নি। আমিও বর্তমানে আর্টিকেল লিখে কিভাবে টাকা আয় করা যায় এটা নিয়ে কাজ করছি। বিভিন্ন কনটেন্ট লিখে মানুষের দৃষ্টি আকর্ষনের চেষ্টা করছি। আপনিও আর্টিকেল লেখা শুরু করতে পারেন, যখন আপনার লেখনি একটা পর্যায়ে চলে আসবে আপনি গুগোলে একটা এডসেন্স একাউন্ট খুলে এডসেন্স এপ্রুভ নিয়ে আপনার ওয়েবসাইটে এড শো করিয়ে টাকা আয় করতে পারেন। আর্টিকেল লেখার জন্য আপনার দরকার হবে একটি ওয়েবসাইটের আপনি ব্লগারে বা ওয়ার্ডপ্রেসে একটি ওয়েবসাইট খুলতে পারেন। আর সেখানে নিয়মিত লেখালেখি করে উপার্যন করতে পারেন। অথবা বড় বড় কোন কোম্পানির স্পন্সরশিপ নিয়ে আপনি আপনার লেখার মাঝে এড দিয়ে তাদের কোম্পানির প্রচার করে তাদের থেকে টাকা নিয়ে আয় করতে পারেন। এটা এমন একটি আইডিয়া যেটার মাধ্যমে আপনি ঘুমিয়েও টাকা আয় করতে পারবেন। তাই আপনিও আর্টিকেল লেখা শুরু করতে পারেন।

৬। ভিডিও তৈরি করে আয় করার উপায়

কোন কিছু দেখলে সবচেয়ে বেশি মনে থাকে, আর তাই বর্তমানে সকলকিছু ভিডিও করে আপলোড করা হয়। আমরা লক্ষ করলে দেখতে পারবো ইউটিউব ও ফেসবুকে ঢুকলে অসংখ্য ভিডিও দেখা যায়, যেগুলো বর্তমানে বিভিন্ন বিষয়ের চাহিদার উপর ভিত্তি করে তৈরি করা হয়। আপনার যদি ভালো ভিডিও তৈরির অভিজ্ঞতা না থাকে তাহলে বিভিন্ন কোম্পানি ভিডিও তৈরির উপর কোর্স করায় আপনি তিন মাসের একটা কোর্স করে নিতে পারেন। যখন আপনি অভিজ্ঞ হয়ে যাবেন তখন আপনার পছন্দের যে কোন একটা বিষয়ের উপর ভিত্তি করে ইউটিউব বা ফেসবুকে ভিডিও আপলোড করতে পারেন। যত ভিডিও বাড়াবেন আপনার দর্শক বাড়তে থাকবে। একটা সময় এমন একটা ভিডিও ভাইরাল হয়ে যাবে যেটা আপনার চ্যানেল উপরে উঠার জন্য যথেষ্ট্য। পরবর্তীতে আপনি মনিটাইজেশন নিয়ে ভিডিওগুলোতে এড শো করে টাকা আয় করতে পারেন। অথবা আপনি ভালো ভিডিও তৈরি করতে পারেন, তাহলে যে কোন একটি কোম্পানিতে ভিডিও ইডিটর হিসাবে কাজ করেও কিন্তু অনেক টাকা আয় করতে পারেন। এ সকল ব্যবসা একবার তৈরি হয়ে গেলে আপনি বসে বসে প্রতি মাসে অনেক টাকা আয় করতে পারবেন। তাই বসে না থেকে ভিডিও মেকিং থেকে শুরু করুন আপনার ব্যবসা।

৭। অনলাইনে প্রাইভেট পড়িয়ে আয় করার উপায়

আমাদের মাঝে যারা হুজুর আছেন, তাদের কিন্তু মাসিক বেতন নাই বললেই চলে। তারা যেহেতু আরবি পড়াতে পারে, আর বর্তমান যেহেতু অনলাইনের যুগ তাই আপনারা কোন ছাত্র খুঁজে আপনি অনলাইনে বসে প্রাইভেট পড়িয়ে মাসে অনেক টাকা আয় করতে পারেন। আমরা অনেকে খুব ভালো ইংলিশ পারি, গনিত পারি  যে যেই বিষয়ে অভিজ্ঞ সেই বিষয়ের উপর স্টুডেন্ট খুজে প্রাইভেট পড়াতে পারি। আবার যারা ইঞ্জিনিয়ারিং সেক্টরে আছি তারা অনেকে পোগ্রাম ভালো পারি অনেকে বিদ্যুতের কাজ ভালো পারি যে যেই বিষয় পারি তার উপর প্রাইভেট পড়িয়ে টাকা আয় করতে পারি। যারা ছাত্র পড়াতে পছন্দ করেন তারা এই পেশাকে বেছে নিতে পারেন।

৮। ওয়েব ডিজাইন ডেভলোপার হিসাবে কাজ করে অর্থ উপার্যন

বর্তমানে প্রযুক্তির যুগে মানুষ এতই প্রযুক্তি নির্ভর হয়ে যাচ্ছে, যেমন সকলে মোবাইল ব্যবহার করে, কম্পিউটার ব্যবহার করে, আমাদের সকলের ইমেইল আছে, ঠিক তেমন কিছুদিন পর এমন হয়ে যাবে সকলের একটি নিজস্ব ওয়েবসাইট থাকবে। সকল বড় বড় কোম্পানিগুলোর দেখবেন নিজের ওয়েবসাইট থাকে আর সেখানে তাদের সকল সার্ভিস সমূহ লিপিবদ্ধ করা থাকে। আমরা তাদের সুযোগ সুবিধা দেখে তাদের পন্য ক্রয় করে থাকি। আপনি যদি ভালো ওয়েভ ডেভলপমেন্টের কাজ পারেন তারা বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানগুলোর ওয়েভ ডিজাইন ডেভলপমেন্টের কাজ করতে পারেন। অথবা কোন কোম্পানির সাথে চুক্তি করে একটি ওয়েবসাইট তৈরি করে দিতে পারেন। এভাবে কাজ করে স্বাধীনভাবে অনেক টাকা আয় করা যায়। আপনার যদি ওয়েব ডিজাইন ডেভলপমেন্ট শিখার আগ্রহ থাকে তাহলে আপনি ইউটিউবের বিভিন্ন ভিডিও দেখে সময় দিয়ে শিখে নিতে পারেন। 

৯। সোস্যাল মিডিয়া ইনফ্লুয়েন্সার হিসাবে কাজ করে অর্থ উপার্যন

বর্তমানে এমন অনেক কোম্পানি আছে যারা তাদের কোম্পানির প্রচারের জন্য ফেসবুক, টুইটার, ইন্সটাগ্রাম, লিংকডিন ইত্যাদিতে আইডি খুলে থাকে। আপনি যদি ফেসবুক, টুইটার ইত্যাদির কাজ ভালো পারেন তাহলে আপনি ঘরে বসে কয়েকটি কোম্পানির কাজ করে দিতে পারেন। আপনি যদি কোম্পানিগুলোর থেকে নির্ধারিত বেতনে কাজ করে থাকেন তাহলে মাস শেষে অনেক টাকা আয় করতে পারবেন। বর্তমানে প্রতিটি পতিষ্ঠান তাদের সকল কর্মকান্ডগুলো স্যোসাল মিডিয়াতে শেয়ার করে তাদের প্রতিষ্ঠানের প্রচার ঘটিয়ে থাকে। তাহলে আপনি এ কাজটি যদি ভালো পারেন তাহলে বিভিন্ন কোম্পানির আইডি গুলো তৈরি করে দিতে পারেন অথবা বেতনের বিনিময়ে তাদের কোম্পানীতে চাকুরী করতে পারেন।

১০। ডাটা এন্ট্রি অপারেটর হিসাবে কাজ করে আয় 

অনেকে ভাবে আমার দ্বারা এত কঠিন কাজ হবে না, যদি সহজ কিছু থাকে তাহলে ভেবে দেখা যেতে পারে। যদি কেউ এমন কাজ খুজে থাকেন তাহলে ডাটা এন্ট্রি কাজটি আপনার জন্য। এর জন্য আপনার শুধুমাত্র কম্পিউটারে টাইপ করার অভিজ্ঞতা থাকতে হবে। বাংলা অথবা ইংরেজী যে বিষয়ে আপনি ভালো টাইপ করতে পারেন সে সকল কাজ শুরু করতে পারেন। এমন অনেক ওয়েবসাইট আছে যারা তাদের সাইটে বিভিন্ন কাজগুলো এলোমেলো করে দিয়ে আপনাকে সাজিয়ে লিখতে বলবে। আপনি এমন কাজ করেও টাকা আয় করতে পারেন। অথবা আপনার বাসার আশেপাশে অনেক প্রতিষ্ঠান আছে যাদের প্রতিদিন নটিশ করা, প্রশ্ন পত্র তৈরি করা, তাদের বিভিন্ন হ্যান্ড নোট টাইপ করে দেওয়া ইত্যাদির জন্য লোক খুজে থাকে। আপনি এ সকল প্রকার কাজ করতে পারলে তাদের সাথে যোগাযোগ করে কাজের বিনিময়ে অর্থ উপার্যন করতে পারেন। কয়েকটি প্রতিষ্ঠানের কাজ নিতে পারলে সেগুলো দিয়ে প্রতি মাসে ভালো টাকা উপার্যন করা সম্ভব।

আপনারা যারা এতক্ষন ধরে মনোযোগ দিয়ে আমাদের পুরো পোস্ট পড়লেন, আশাকরি কোন একটি বিষয় আপনার ভালো লেগেছে। আপনি আপনার ভালো লাগার বিষয়টি দিয়ে শুরু করতে পারেন আপনার ব্যবসা। আর আপনি যদি ভাবেন যে এ আর্টিকেল পড়লাম আরো কতজনে কত আইডিয়া দেয়? দেখি কারটা আরো ভালো লাগে এমন করে হাজারো পোস্ট পড়বেন কিন্তু পরে আর কোন কাজ করতে মন চাবে না। কারন আপনি দিশেহারা হয়ে যাবেন। তাই আপনি আপনার পছন্দের একটি কাজ শুরু করুন প্রতিদিন সময় দিন একদিন দেখবেন এতবড় একটা প্লাটফর্ম তৈরি হয়ে যাবে যেটা আপনার কল্পনাতেও ছিল না। এমন অনেকে আছে আজকে না কালকে এমন করতে করতে বহু বছর পার করে ফেলেছে তাই শুরু করতে দেরি করবেন না। উপরে বিনা পুজিতে অনলাইনে ব্যবসার অসাধারন ১০টি আইডিয়ার যে ধারনা দেওয়া হলো কোনটি করে আপনি হঠাৎ কোটি টাকার মালিক হতে পারবেন না, কিন্তু যদি আপনি লেগে থাকেন ইনশাআল্লাহ একদিন আপনার সকল দুঃখ মুছে যাবে। তাই চিন্তা ভাবনা করে একটি কাজ শুরু করুন সফলতা একদিন আপনার দুয়ারে কড়া নাড়বে।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

উপায় কী এর নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url