উপায় কী ওয়েবসাইট নামকরনের কারন
আসসালামু আলাইকুম, আশা করি আল্লাহর রহমতে সকলে সুস্থ ও ভালো আছেন। উপায় কী (upaykey.com) আপনাদের কাছে একটি ভিন্ন নাম মনে হতে পারে, আসলে নামটি একটু ব্যতিক্রম। নামটি রাখার পিছনে অনেক কারন রয়েছে, আমি যখন নামটি পছন্দ করি আমার কাছেও নামটি কেমন যেন লাগতেছিল। আচ্ছা যাই হোক এখন আসা যাক উপায় কী এর নামকরনের কারন নিয়ে
আমি একটু খুনসুটে মানুষ, এর মানে হলো আমি যখন ওয়েবসাইট ডিজাইনের বা ব্লগ সাইট তৈরির সিদ্ধান্ত নিলাম তখন অনেক কয়টি নামের কথা মাথায় চলে আসছিলো। আমার অন্য আরো তিনটা ব্লগ সাইট আছে। কিন্তু একটাতেও এখন পর্যন্ত আমার লক্ষে পৌছাতে পারতেছিনা। কারন আমার বিগত ওয়েবসাইট গুলো মুলত Blogspot.com এর আওতায় ছিল।
আরো পড়ুনঃ ব্লগে ইমেজ আপলোড করার সঠিক নিয়ম।
আমার কাছে বার বার মনে হতো আমি যদি একটি ডোমেইন ক্রয় করে ওয়েবসাইট তৈরি করতে পারতাম? কারন যখন আমি অন্য ব্লগসাইটগুলো তৈরি করি আমার কাছে ডোমেইন কিনার জন্য যথেষ্ট পরিমান টাকা ছিল না। পরবর্তিতে এভাবেই ব্লগসাইটে কিছু পোস্ট প্রদান করেই চললাম।
কিন্তু বার বার যখন অন্যকারো ওয়েবসাইটের পেজ ভিউ করতাম তখন তাদের পেজ সাজানো এবং আমার ওয়েবসাইটের পেজ আউটলুকিং আমার ভালো লাগতো না। এমন কত যে ওয়েবসাইটের থিম কাস্টোমাইজ করেছি তার কোন ঠিক নাই। আমাদের গুগল নিউজ অনুসরন করুন।
শুধু ইউটিউবে সার্স করতাম ফাস্ট লোডেড ব্লগার টেমপ্লেট। সার্স করলে কতজনের কতরকম সাজেশন, একবার একজনের টেমপ্লেট ভালো লাগে আবার যখন কাস্টোমাইজ করে পেজ ভিউ করি তখন আর ভালো লাগতো না। আবার নতুন করে আরেকটি ভিডিও দেখতাম, দেখার পর আবার আরেকটি টেমপ্লেট ডিজাইন করতাম কিন্তু প্রতিটি টেমপ্লেটের ভিতরে ছোটখাটো ভুলের কারনে নিজের কাছে বিরক্ত লাগছিল।
অনেক রাত কাটছে শুধু টেমপ্লেট ডিজাইন করে। কাজটা যেহেতু শিখার আগ্রহ ছিল প্রচুর তাই বিরক্ত না হয়ে চেষ্টা চালিয়ে যেতে থাকলাম। তবে এটা ভালো হয়েছে এতকিছু ঘাটাঘাটি করতে গিয়ে নিজের অনেক কিছু শেখা হয়েছে।
এভাবে কাজ করতে করতে একটা সময় মনেহলো আর ব্লগে কাজ করবো না। প্রায় এক বছর ব্লগে কোন প্রকার কাজ করি নাই। কাজ করতে করতে অভ্যাস হয়ে যাওয়ার করনে একটা সময় আবার মনেহলো ফ্রি সময়গুলোতে একটু ব্লগে কাজ করি। এটও ভাবলাম এবার যদি ব্লগে কাজ করি তাহলে একটা অন্তত কাস্টম ডোমেইন নিয়ে কাজ শুরু করবো যাতে করে কাজের আগ্রহটা মোটেও না কমে।
একটা কথা বলে রাখি অধিকাংশ লোকের আমার মত এমন অনেক ওয়েবসাইট আছে যারা কিনা আমার মত এমন ক্লান্ত হয়ে ব্লগে লিখালিখি করা বাদ দিয়ে দিয়েছে। আর এর কারন হিসাবে দেখা গেছে তাদের সকলের ওয়েবসাইটগুলো ফ্রি ছিল। আমাদের বাঙ্গালীদের একটা বাজে সভাব ফ্রি জিনিসে আমাদের আগ্রহ অনেক কম থাকে। তাই আমরা এমন অনেক ওয়েবসাইট তৈরি করেও সফলতা পাই না।
আমার ক্ষেত্রেও ব্যপারটা এমন ঘটেছে, তবে আমার ভিতর আমি এটা লালন করতাম আমার লিখনি পড়ে যদি কারো কোন উপকার হয় তাহলে এটাই আমার বড় প্রাপ্তি। আচ্ছা আমার তো পরিচয়টাই দেওয়া হলো না- আমার নাম মোঃ আইনুদ্দিন আল আজাদ। আমি পড়াশুনা করেছি ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি থেকে ইলেকট্রিক্যাল ও ইলেকট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং নিয়ে।
বর্তমান আমি একটি প্রতিষ্ঠানে শিক্ষকতার দায়িত্ব পালন করছি। শিক্ষকতার এ মহান পেশায় এসে যখন নিজের বু্দ্ধি ও মেধা দিয়ে ছাত্রদের কে যখন নতুন কিছু শিক্ষা প্রদান করতে যাই আমার কাছে অনেক ভালো লাগে। আমার তখন থেকে মনে হলো আমি যদি এমন একটা কাজ করি যার কারনে আমকে আমার ছাত্ররা আমার নির্ধারিত একটা প্লাটফর্মে এসে আরো কিছু অর্জন করতে পারবে।
এমন ভাবনা থেকে মূলত ওয়েবসাইট তৈরি করা। তবে কয়েকবার ব্যর্থ হয়েও হাল ছাড়িনি। আবারো নতুন করে একটা ওয়েবসাইট চিরজীবনের জন্য বানাতে চাইলাম, যেন বার বার পরিবর্তন করতে মনে না চায় এ কারনে এবার টাকা খরচ করে ডোমেইন কিনলাম যাতে করে কাজ করার অগ্রহটা বেড়ে যায়।
কয়েকটি ওয়েবসাইট তৈরি করে যখন প্রায় ক্লান্ত হয়ে পড়েছি, তাই মনে মনে ভাবলাম এমন একটা নাম রাখবো যাতে করে কখনো যদি নামটা উচ্চারন করি আমার যেন পুরনো দিনের ক্লান্তির কথা মনে পড়ে যায়। যখন নাম খুজতে খুজতে আমি ক্লান্ত তখন আর উপায় না পেয়ে নাম রেখে দিলাম উপায় কী?
আপনারা আমার জন্য দুয়া করবেন আমি যেন আমার লেখনির দ্বারা কারো উপকার করতে পারি।
একটু মজা করে বলি আপনারা যদি কোথাও কোন কিছু খুজতে খুজতে উপায় না পান তাহলে উপায় কী তে আপনার মনোভাব শেয়ার করতে পারেন। আমরা আপনাদের জন্য একটা নয় একটা উপায় বের করে দিব ইনশাআল্লাহ। উপরের লিখনিতে উপায় কী নামকরন কি আসলেই সার্থক হয়েছে কিনা কমেন্ট করে জানাবেন। সকলে ভালো থাকবেন, সুস্থ্য থাকবেন আর আমার জন্য দুয়া করবেন। আজ এ পর্যন্ত আল্লাহ হাফেজ।
আরো পড়ুনঃ
উপায় কী এর নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url