কবুতর পালন পদ্ধতি - কবুতরের ঘরের ডিজাইন

কবুতর পালন পদ্ধতির সাথে বাংলাদেশের মানুষ  বেশ পরিচিত, ছোট বেলা থেকে নিজের বাসায় হোক বা অন্য কারো বাসায় হোক কবুতর দেখেনী এমন কোন লোক খুজে পাওয়া যাবে না। কবুতর মানুষ শখের বসে প্রতিপালন করে থাকে। যদিও সকলের বাসায় নাকি কবুতর হয় না, কারন কবুতরকে সুখের পাখি বলা হয়।

অনেকের মনেকরে যে সকল বাসায় ঝগড়া-বিবাদ বেশি হয় সে সকল বাসায় কবুতর হয় না। আজকে আলোচনা করবো কবুতর পালন পদ্ধতি, কবুতরের ঘর তৈরির নিয়ম, কবুতরের খাবার, কবুতরের জাত, কবুতরের প্রজনন, কবুতরের বিভিন্ন রোগের চিকিৎসা নিয়ে আশা করি পুরো পোস্ট সময় ‍ দিয়ে পড়বেন। আমাদের গুগল নিউজ পড়ে আসুন।

কবুতরের বিভিন্ন জাত ও কবুতর নির্বাচন

বর্তমানে পৃথিবীতে কত প্রজাতির কবুতর আছে এর কোন নিশ্চিত ধারনা কারো নেই, তাও ধারনা করা হয় প্রায় ৬০০ প্রজাতির কবুতর আছে। বর্তমানে আরো নতুন নতুন প্রজাতি আবিষ্কারের চেষ্টা চলছে। বাংলাদেশেও বর্তমানে প্রায় ৩০ প্রজাতির উপর কবুতর রয়েছে। কবুতর বেশিরভাগ যারা তরুন বয়সের তাদেরকে পুষতে দেখা যায়।
 
ছাত্র বয়সে পড়াশুনার পাশাপাশি নিজের সারাদিনের পুরো সময়ের কিছু অংশ কবুতরের খামার করতে অনেককে দেখা যায়। কবুতরের খামার করে অনেকে স্বাবলম্বী হয়েছে। কবুতর নির্বাচন বলতে আমরা বুঝি কবুতরের ছেলে মেয়ে বা পায়রা পাইরিকে চেনা। প্রতিটি জীবের মত কবুতরেরও ছেলে মেয়ে বা দুইটি আলাদা লিঙ্গ আছে।
কবুতর পালন পদ্ধতি

পায়রা কবুতরগুলো দেখতে একটু বড় সাইজের হয়ে থাকে, আর পাইরিগুলো পায়রা অপেক্ষা ছোট হয়ে থাকে। পায়রা কবুতরের কাছে পাইরি কবুতর আনলে ঘাড় ফুলিয়ে বাক-বাকুম শব্দ তৈরি করে। এটা দেখে আমরা বুঝি যে এটা পায়রা কবুতর। আর পাইরি কবুতর দেখতে ছোট বিশেষ করে মাথার অংশটা একটু লম্বাটে হয়ে থাকে।

যারা অভিজ্ঞ তারা দেখবেন পাইরি কবুতরের পায়খানার রাস্তা বেশ প্রসস্ত এসব দেখে পাইরি কবুতর চেনা যায়। বর্তমানে বাংলাদেশে যে সকল প্রজাতির কবুতর পাওয়া যার তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো দেশি কবুতর। যারা ভেজাল পছন্দ করে না কবুতরকে বেশি সময় দিতে পারে না তারা দেশি কবুতর পুসে থাকে। বাংলাদেশে জালালী কবুতরেরও বেশ নাম ডাক আছে। 

আর যারা খামারী বা কবুতর পালন করে আয় করতে চায় তারা দামি দামি কবুতর প্রতিপালন করে থাকে। যেমন- হোয়াইট কিং, সিলভার কিং, হোমার, কাউরা, গোলা, ডাউকা, পাক্কা, সিরাজী, লাক্ষ্যা, ঘিয়াচুল্লি, সুয়াচন্দন, গিরিবাজ, লাহোরী, জেকোভিন, মুক্ষি, লোটন, রেচার ইত্যাদি ছাড়াও অনেক কবুতর পাওয়া যায়।

যারা কবুতরের খেলা দেখতে পছন্দ করে তারা গিরিবাজ কবুতর পুশে থাকে, গিরিবাজ কবুতর খুবই প্রভু ভক্ত হয়ে থাকে। আর যার প্রতিযোগীতা করতে পছন্দ করে তারা রেচার কবুতর পালন করে থাকে।

কবুতর কেনার সময় যে বিষয়ের উপর সতর্ক থাকা দরকার

ভালো কোন প্রসিদ্ধ হাটে গিয়ে কবুতর ক্রয় করা উচিত, এতেকরে ভালো প্রজাতির কবুতর কিনতে পাওয়া যায় এবং কবুতর যে জাতের চান সেই জাতের পাবেন। তবে বর্তমানে অনেক খামার আছে সেখানে যোগাযোগ করেও আপনারা কবুতর কিনতে পারেন।

কবুতর সবসময় সুস্থ্য এবং স্বাস্থ্যবান দেখে কিনা উচিত। আপনি যেহেতু কবুতর পুশবেন তাই আপনার যেটা পছন্দ সেটাই কিনুন কারো কথায় কিনে পরে আফসোস করবেন। কবুতর আলাদা খাঁচায় রেখে দিয়ে চেক করে নিবেন পায়ে বা ঘাড়ে কোন সমস্যা আছে কিনা। অনেক সময় দেখা যায় প্যারালাইসেস হওয়া কবুতর অনেকে বিক্রয়ের জন্য নিয়ে আসে।

বয়স দেখে কবুতর কিনুন, অনেকে বাচ্চা কবুতরকে রানিং বলে তাই কবুতর হাতে নিয়ে ঠোটের কোনায় চেক করবেন কবুতরটি আগে বাচ্চা উৎপাদন করছে কিনা- যদি বাচ্চা উৎপাদন করে তাহলে ঠোঁটের কোনে সাদা দাগ দেখা যাবে।

কবুতর ৪মাস থেকে ৫ মাসের ভিতরে বাচ্চা প্রদানের জন্য তৈরি হয়ে যায়, কবুতরের ডানা মেলে দেখবেন ৫/৬ ডানার পর ডানাগুলো পড়তে থাকে যখন কবুতরের বয়স ৫ মাস হয় তখন ডানার এক দুটা ডানা পড়া বাকি থাকে।

দামি কবুতর অবশ্যই চোঁখ দেখে কিনবেন। কারন অনেকে কবুতরের চোঁখ এক রকম থাকা সত্বেও অন্য কবুতর বলে বিক্রি করে দেয়। যার থেকে কবুতর নিবেন তার মোবাইল নম্বরটা নিয়ে রাখবেন, প্রয়োজনে কাজে লাগতে পারে।

কবুতরের প্রজনন ও বাচ্চা উৎপাদন নীতি

আমরা ৫ থেকে ৬ মাসের দুটো আলাদা কবুতর (পায়রা ও পাইরি) কে একটি ঘরের ভিতরে ৪/৫ দিন একসাথে আটকিয়ে রাখলে তারা জোড়া নিয়ে নেয়। তবে নতুন কবুতরকে অবশ্যই ডানা বেধে রাখবেন ৫/৬দিন, নাহলে উড়ে যাওয়ার সম্ভবনা রয়েছে। জোড়া নেওয়ার পর তারা এক সাপ্তাহের ভিতরে বাচ্চা উৎপাদনের জন্য কাজ করে। কবুতর প্রাকৃতিক ভাবেই প্রজনন করে থাকে।

কবুতরের জোড়া যদি ভালো হয় তাহলে প্রতি মাসেই এক জোড়া বাচ্চা উৎপাদন করে থাকে। প্রতিবার ডিম পাড়ার ২৮ থেকে ৩০ দিনের মাথায় দুই দিনের ব্যবধানে ২টি করে ডিম পাড়ে। ছেলে ও মেয়ে কবুতর দুজন মিলেই ডিমে তাপ দিয়ে থাকে। ডিমের বয়স ১৮ দিন হলে বাচ্চা ফুটে থাকে। প্রথম যে বাচ্চা ফুটে সেটাকে পায়রা হিসাবে ধরা হয় আর পরের বাচ্চাটিকে পাইরি হিসাবে ধরা হয়ে থাকে।

বাচ্চা ফুটার ১০ দিনের ভিতরে বাচ্চা কবুতরকে বাহিরের খাবার খাওয়ায় না, এ সময় মা-বাবার খাদ্যথলি থেকে দুধ যাতীয় খাবার মুখের মাধ্যমে বাচ্চাকে খাওয়ায়। পরবর্তীতে ছোট টুকরা বা দানাদার খাবার অল্প অল্প করে খাওয়ানো হয়। ২৮ দিন পর থেকে বাচ্চার পাখা গজাতে শুরু করে। দেড় মাস বয়স হলেই বাচ্চা খাবারের উপযোগী হয়ে যায়। একটি কবুতর গড়ে ১০-১২ বছর পর্যন্ত বেচে থাকতে পারে।

কবুতরের খাবার তালিকা

কবুতরের খাবার হিসাবে সাধারনত ধান, গম, ভুট্টা ভাঙ্গা, মটর, খেসারী, সরিষা, চাল, কাউন, ভাত ইত্যাদি সকল খাবার পছন্দ করে। তবে দেশি কবুতর ধান বেশি খায়। আর যারা সখের বসে কবুতর পালন করে তারা সকল খাবারগুলোকে কিনে মিক্সড করে তারপর কবুতরকে দিয়ে থাকে। কবুতরের একটি ভালো দিক হলো এরা খাবার খুব দ্রুত হজম করতে পারে এবং খাবারের অপচয় কম করে।

বাসার আশেপাশে পড়ে থাকা সকল খাবার খেয়ে থাকে। কবুতরের বিভিন্ন ঘাসের বিজ খুবই পছন্দের। তবে বাচ্চার সুস্বাস্থের জন্য ডিমের খোসা, ঝিনুক চুর্ন, পোড়া মাটি অথবা ইটের গুড়া, সমুদ্রের ফেনা, হাড়ের গুড়া, লবন ইত্যাদি মিক্সড করে খাওয়ালে বাচ্চা দ্রুত বড় হয়।

কবুতর পালন পদ্ধতি

আমাদের দেশে কবুতর পালনের জন্য অনেকে অনেক পদ্ধতি ব্যবহার করে থাকে নিয়ে কয়েকটি পদ্ধতি নিয়ে আলোচনা করা হলো-

উন্মুক্ত পদ্ধতিঃ বেশিরভাগ লোকজন কবুতর এ কারনে পুসে কারন কবুতর সহজে পোষ মানে এবং প্রভুভক্ত। তাই একবার পোষ মানলে আর কবুতর কোথাও চলে যায় না তাই বেশিরভাগ লোক কবুতরকে উন্মুক্ত স্থানে ছেড়ে দিয়ে পুষে থাকে। এতেকরে কবুতর নিজেরা স্বাধীনভাবে থাকতে পারে এবং বেশি বাচ্চা উৎপাদন করে থাকে।

খাঁচায় কবুতর পালন পদ্ধতিঃ অনেকে আছে যারা ব্যবসার জন্য অনেক দামি দামি কবুতর পালন করে থাকে তারা আবদ্ধ অবস্থায় কবুতর পালন করে। খাঁচায় পালন করলে কবুতরকে বেশি সময় দিতে হয়। তাদের সবসময় মনিটরিং এ রাখতে হয়। খাচায় কবুতর পালন করলে নিয়মিত পরিচর্যা করতে হয় না হলে কবুতরের রোগ বেশি হয়।

অর্ধআবদ্ধ পদ্ধতিঃ অনেকে বাড়ির ছাদে বড় নেট দিয়ে কবুতরের ঘর সিস্টেম করে কবুতর পালন করে থাকে। কবুতর একটা নির্ধারিত সময়ে সেই সেটে ছেড়ে দেওয়া হয়। তবে এ অবস্থায় কবুতর পালনে খরচ অনেক বেশি।

কবুতরের ঘরের ডিজাইন

যারা কবুতর পালনের কথা চিন্তা করে, তাদের প্রথম ভাবনাই থাকে কবুতরের ঘরের ডিজাইন কেমন হবে। কবুতরের বাসা তৈরির আগে কয়েকটি বিষয় মাথায় রাখতে হবে, যেমন- মাটি থেকে যথেষ্ট উপরে যেখানে বিড়াল বা অন্য কোন হিংস্র প্রানি হানা দিতে না পারে। ছাঁয়াযুক্ত যায়গা নির্ধারন করা উচিৎ যাতে অতিরিক্ত গরমে বাচ্চার ক্ষতি না হয়, আবার অতিরিক্ত স্যাতস্যাতে স্থানকেও নির্ধারন করা উচিৎ নয়।

কবুতরকে অনেকে একটা বড় ঘর করে সেখানে রেখে দেয় যেটাকে কাবু বলে থাকে এলাকার ভাষায়। এভাবে কবুতরের ডিম নষ্ট হয়ে যাওয়ার সম্ভবনা থাকে। কারন একই ঘরে অনেক কবুতর থাকে অনেক দুষ্ট কবুতর আছে যারা অকারনে মারামারি করে থাকে। কবুতরের ঘরের সাইজ কেমন হওয়া দরকার এটা নিয়ে সকলের প্রশ্ন থাকে।

কবুতরের জন্য আলাদা বাসা তৈরি করাটা সবচেয়ে উত্তম প্রতিজোড়া কবুতরের জন্য ৩০সেমি প্রস্থ, ৩০ সেমি. উচ্চতা ও ৩০ সেমি লম্বা বাসা তৈরি করা উচিৎ। বাসার সামনে বারান্দার জন্য ৬ থেকে ৮ ইঞ্চি যায়গা রাখা দরকার যাতে কবুতর দূর থেকে এসে সেখানে দাড়াতে পারে। প্রতিটি ঘরের মুখে দরজার জন্য ৪ ইঞ্চি লম্বা ও ৪ইঞ্চি প্রসস্থ যায়গা রাখতে হবে।


দরজাকে এমন ভাবে সেট করা উচিত যেন রাতে দরজা বন্ধ করে রাখা যায়। কবুতরের বাসার জন্য কম যায়গা লাগে অনেকে ২/৩ তলা বিশিষ্ট বাড়িও তৈরি করে। তবে খেয়াল রাখতে হবে ঘরে যেন আলোবাতাস প্রবেশের রাস্তা থাকে। প্রতিমাসে কম করে একবার হলেও ঘর পরিষ্কার করে দিতে হবে। তা না হলে ঘরে পোকামাকড় জন্ম নিবে।

অনেকে বাঁশ দিয়ে কবুতরের ঘর তৈরি করে থাকেন আবার কেউ আছেন যারা কিনা কাঠ দিয়েও কবুতরের ঘর নির্মন করে। কবুতরের বাসস্থান কেমন হবে সেটা নির্ভর করবে আপনি কোন প্রজাতির কবুতর পালন করবেন তার উপর।

কবুতরের রোগ ও ঔষধের নাম

কবুতর যারা পালন করে তারা জানে কবুতরে তেমন রোগ নেই বললেই চলে, তবে শিতের শুরুতে এবং শেষে কবুতরকে একটু অসুস্থ হতে দেখা যায়। কলেরা, বসন্ত, রক্ত আমাশয়, কৃমি ইত্যাদি রোগে কবুতর বেশি আক্রান্ত হয়। কি কি উপসর্গ দেখাদিলে আমরা বুঝতে পারব যে কবুতরের রোগ হয়েছে চলুন দেখে আসি।

বসন্ত রোগের উপসর্গঃ কবুতরের যেসকল স্থানে পালক নেই যেমন- ঠোঁটের কোনে, পায়ের নোখে ইত্যাদি যায়গায় গুটি উঠতে দেখা যায়, অনেক সময় গলার ভিতরে ঘা হয় এতেকরে কবুতর খেতে পারেনা এ সকল উপসর্গ দেখে বুঝতে পারবেন আপনার কবুতরের বসন্ত রোগ হয়েছে।

এ রোগের প্রতিকার হিসাবে আপনারা ক্ষত স্থানে টিংচার আয়ডিন বা পটাশ এবং স্যাভলন ব্যবহার করতে পারেন দিনে ২ বার করে। তবে কবুতরের বয়স চার সপ্তাহের সময় যদি আপনারা পিজিওন পক্সের টিকা দিয়ে থাকেন তাহলে আর বসন্ত রোগ হওয়ার সম্ভবনা থাকে না।


কলেরা রোগের উপসর্গঃ কলেরা রোগের কারনে হঠাৎকরে কবুতরের শরীরের তাপমাত্রা বাড়ে, শ্বাসকষ্ট দেখা দেয়, কবুতর ঝিমাতে পারে, হলুদ বা সবুজ পায়খানা করতে দেখা যায়, এ সময় কবুতর বেশি বেশি পানি খায়। এবং একটা সময়ে কবুতরটা মারা যায়। যদি আপনাদের কবুতরের এসকল সমস্য হয়ে থাকে তাহলে কসুমিক্স প্লাস বা টেরামাইসিন খাওয়ানো যেতে পারে।

কবুতরের ঝিমানো রোগের ঔষধ হিসাবেও ব্যবহার করতে পারেন। বেশির ভাগ রোগ হয় পানিবাহিত কারনে তাই সবসময় পানির পাত্র পরিষ্কার রাখবেন। যাদের কবুতরের বদহজম হয়ে থাকে কবুতরের খাদ্যথলি পানি দিয়ে পূর্ন, চাপ দিলে মূখ দিয়ে পানি পড়ে, কবুতর ঝিম ধরে থাকে তারা জাইমেট ট্যাবলেট তিন ভাগের এক ভাগ করে প্রতি বেলায় খাওয়াতে পারেন।

বিঃদ্রঃ যেহেতু এখন প্রতিটি উপজেলায় পশু চিকিৎসা বিভাগ রয়েছে আপনারা সেখানে যোগাযোগ করেও রোগ হলে তার চিকিৎসা পেতে পারেন।

কবুতর পালন করে কি বেকারত্ব দুর করা যায়?

অনেকের প্রশ্ন থকে কবুতর পালন করে লাখপতি হওয়া যায় কিনা- যারা কবুতর পালনকে বানিজ্যিক ভাবে গড়ে তুলেন তারা অবশ্যই কবুতর পালন করে বেকারত্ব দূর করতে পারবেন। একটি সমিক্ষায় দেখা গেছে ৩০ জোড়া উন্নত কবুতর পালন করে প্রতি বছর এক লক্ষ টাকা বিনিয়োগ করলে ৮০ হাজার টাকার বাচ্চাই বিক্রি করা সম্ভব।

দেশি কবুতর পালন করে প্রতি বছর ৩০ জোড়ার জন্য ৭০ হাজার টাকা খরচ করলে ৬০ হাজার টাকার বাচ্চা বিক্রয় করা যায়। তবে যেহেতু কবুতরের বিভিন্ন যাত রয়েছে তাই অনেক সময়ে একজোড়া বাচ্চা বিক্রিকরে ১লক্ষ টাকা আয় করছে এমন অনেক উদাহরন রয়েছে। তাই কবুতর পালন করে বেকারত্ব দূর করা সম্ভব।

কবুতরের দাম ২০২৪

কবুতর যেহেতু শখের জিনিস তাই দামের বিষয়টা অনেক সময় কবুতর পছন্দের উপর নির্ভর করে। তরপরও আপনারা দেশি কবুতর বর্তমানে বাজারে ৩০০ থেকে ৪০০ টাকায় বাজারভেদে পেয়ে যাবেন। উন্নত প্রজাতির কবুতরগুলো ৮০০ থেকে ৩০০০ টাকার ভিতরে পেয়ে জাবেন। আর যারা রেচিং এর জন্য কবুতর কিনবেন তাদের ১০,০০০ থেকে ১ লক্ষ টাক পর্যন্ত লাগতে পারে কবুতর কেনার জন। তবে যে কবুতর কিনবেন অবশ্যই দাম করে কিনবেন।

আমরা আজকে আপনাদের মাঝে এতক্ষন কবুতর পালন পদ্ধতি ও কবুতরের ঘরের ডিজাইন সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করলাম। আপনাদের আজকের পোস্টটি আশাকরি অনেক কাজে দিবে। আপনাদের যদি কবুতর পালন করা নিয়ে কোন প্রকারের প্রশ্ন থেকে থাকে আমাদের অবশ্যই কমেন্ট করে জানাবেন। ধন্যবাদ।

আরো পড়ুনঃ

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

উপায় কী এর নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url