অ্যামিটার কাকে বলে? | অ্যামিটারের কাজ কি

বৈদ্যুতিক পরিমাপ যন্ত্রের ভিতরে অ্যামিটার খুবই গুরুত্বপূর্ন। বৈদ্যুতিক সার্কিটের কারেন্ট পরিমাপের জন্য অ্যামিটার ব্যবহার করে থাকি। অ্যামিটার কিভাবে কাজ করে এবং অ্যামিটারকে কিভাবে কানেকশন করতে হয় তা হয়তো অনেকের অজানা। তাই আজকের পোস্টে অ্যামিটার কাকে বলে এবং অ্যামিটার কিভাবে কাজ করে এ বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা হবে।

অ্যামিটার বিভিন্ন রেঞ্জের হতে পারে। বাজারে 0-5A, 0-10A, 0-20A, 0-50A, 0-100A, 0-500A ইত্যাদি রেঞ্জের অ্যামিটার পাওয়া যায়। রেঞ্জের উপর ভিত্তি করে অ্যামিটারের দাম কমবেশি হতে পারে।

আরো পড়ুনঃ মাল্টিমিটার কাকে বলে | মাল্টিমিটার দিয়ে কি মাপা হয়।

অ্যামিটার কি | অ্যামিটার কাকে বলে

কারেন্ট হলো বিদ্যুৎ পরিমাপক একটি রাশি। আমরা জানি কারেন্টের একক অ্যাম্পিয়ার। অ্যামিটারের সাহায্যে সার্কিটে প্রবাহিত কারেন্ট পরিমাপ করা যায়। যে পরিমাপক যন্ত্রের সাহায্যে কোন বৈদ্যুতিক সার্কিটের কারেন্ট অ্যাম্পিয়ার এককে পরিমাপ করা হয় তাকে অ্যামিটার বলে। অ্যামিটারে মোটা তারের কমসংখ্যক প্যাঁচ থাকে। তাই অ্যামিটারের অভ্যন্তরীণ রেজিস্ট্যান্স খুবই কম মানের হয়ে থাকে। অ্যামিটারকে সিরিজে সংযোগ করলে মূল কারেন্টের কোন পরিবর্তন হয় না।

অ্যামিটারের কাজ কি

অ্যামিটারকে সবসময় সার্কিটের সাথে সিরিজে সংযোগ করতে হয়। অভ্যন্তরীণ রেজিস্ট্যান্স নিম্নমানের হওয়ায় যদি অ্যামিটারকে প্যারালালে সংযোগ করা হয়, তাহলে শর্ট সার্কিট হয়ে মিটারটি পুড়ে গিয়ে নষ্ট হয়ে যাবে। তাই অ্যামিটারকে লাইনের সাথে প্যারালালে সংযোগ দেওয়া হয় না।

অ্যামিটারের শ্রেণিবিভাগ

গঠন অনুযায়ী অ্যামিটার প্রধানত দুই প্রকার। যথা- 
  • মুভিং আয়রণ টাইপ অ্যামিটার
  • মুভিং কয়েল টাইপ অ্যামিটার।
মুভিং আয়রণ টাইপ অ্যামিটার আবার দুই প্রকার। যথা-
  • অ্যাট্রাকশন টাইপ
  • রিপালশন টাইপ (এসি/ডিসি উভয়ক্ষেত্রে ব্যবহার করা হয়)
মুভিং কয়েল টাইপ এসি/ডিসি অ্যামিটার দুই প্রকার। যথা-
  • পারমানেন্ট ম্যাগনেট অ্যামিটার (যা শুধু ডিসিতে ব্যবহার করা হয়ে থাকে)
  • ডায়নামোমিটার টাইপ অ্যামিটার (যা এসি/ডিসি উভয় ক্ষেত্রে ব্যবহার করা হয়ে থাকে)

অ্যামিটার সংযোগ চিত্র

অ্যামিটার সংযোগ চিত্র

অ্যামিটারের সাহায্যে পাঠ নির্ণয় পদ্ধতি

সার্কিটে কি পরিমান কারেন্ট আছে তার উপর ভিত্তি করে অ্যামিটার নির্বাচন করতে হবে। তবে লক্ষ্য রাখতে হবে অ্যামিটারের রেঞ্জ যেন অবশ্যই সার্কিটে প্রবাহিত মোট কারেন্টের চেয়ে বেশি হয়। উপরে বলা হয়েছে অ্যামিটারকে সার্কিটের সাথে সিরিজে সংযোগ করতে হয়। এসি অ্যামিটার সংযোগের ক্ষেত্রে পজেটেভ ও নেগেটিভ টার্মিনাল বিবেচনা না করেই সংযোগ দেওয়া যায়।

ডিসি অ্যামিটারের ক্ষেত্রে পজেটিভ ও নেগেটিভ টার্মিনাল সঠিকভাবে দেখে সংযোগ করতে হবে। সরবারহের পজেটিভ প্রান্তের সাথে অ্যামিটাররের পজেটিভ টার্মিনাল এবং সরবারহের নেগেটিভ প্রান্তের সাথে অ্যামিটারের নেগেটিভ প্রান্ত সংযোগ করতে হবে। এখন পাওয়ার সাপ্লাই দিয়ে মিটারের কাটা কোথায় আছে এটা দেখে সার্কিটে কত অ্যাম্পিয়ার কারেন্ট আছে তা নির্ণয় করতে হবে।

শেষকথা

আপনারা যারা এতক্ষন ধরে পুরো পোস্ট পড়লেন আশাকরি অ্যামিটার কি এবং অ্যামিটার কিভাবে সংযোগ করতে হয় এ বিষয়ে ভালো একটি ধারনা পেয়ে গেছেন। যদি আপনাদের কোন মতামত থাকে তাহলে অবশ্যই কমেন্ট করে জানাবেন। এমন নিত্যনতুন পোস্ট পেতে আমাদের ওয়েবসাইট সবসময় ভিজিট করুন ধন্যবাদ।

আপনাদের জন্য আরো কিছু পোস্ট-

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

উপায় কী এর নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url