ওজন কমানোর সহজ ও কার্যকর উপায়

ওজন কমানোর সহজ ও কার্যকর উপায়- এমন একটা সময় ছিল মানুষ মোটা হতে বা ওজন বাড়ানোর চেষ্টা করতো। কারন তখন বেশিরভাগ মানুষ চিকন ছিল। এ চিকন থাকার পিছনে গবেষনা করে দেখা গেছে তারা তাদের সময়ে প্রচুর শারিরিক পরিশ্রম করতো। আমরা বর্তমান এমন হয়ে গেছি কাজ থেকে দূরে দূরে থাকি, এখন সবার বাড়িতে কাজের লোকজন কাজগুলো করে দিয়ে যায়। আমরা শুধু সময়মত খাই আর টুকটাক কিছু কাজ করি। কিন্তু যে অল্প কাজ করি সে অনুযায়ী আমাদের খাওয়া উচিত। আমরা খেতে বসলে কাজের কথা মনে রাখি না, পেট ভরে আমরা খাবার খেতে অভ্যস্ত। প্রথম প্রথম খাবার খেতে তেমন সমস্যা হয় না, কিন্তু আমাদের খাবার খাওয়ার অভ্যাস হয়ে যাওয়ার কারনে পরবর্তীতে আমরা অল্প খাবার খেলে আমাদের পেট ভরে না। আর বেশি বেশি খাবার খাওয়ার কারনে আমরা আস্তে আস্তে মোটা বা স্বাস্থ্যবান হয়ে যাচ্ছি। আর অধিক মোটা হওয়ার কারনে ওজন কমানোর সহজ ও কার্যকর উপায় নিয়ে অনেকে সার্স করে থাকে। আমাদের গুগল নিউজ অনুসরন করুন।

যে পরিমান খাবার আমরা খাই সে অনুযায়ী পরিশ্রম না হওয়ার কারনে আমাদের শরীরে আস্তে আস্তে চর্বি জমা হতে থাকে, আমাদের ভুড়ি বাড়তে থাকে, প্রথম দিকে ওজন বাড়ার কারনে দেখতে ভালো দেখা গেলেও আস্তে আস্তে দিন যত যাবে মোটা আমরা হতেই থাকবো। তাই আমাদের দরকার কিছু নিয়ম মেনে চলা। আজকে আপনাদের কে ওজন কমানোর সহজ ও কার্যকর উপায় নিয়ে যে নিয়মগুলোর কথা বলবো আপনারা যদি মেনে চলেন আশা করছি উপকৃত হবেন। তো চলুন শুরু করি -

ওজন কমানোর সহজ ও কার্যকর উপায় 

ওজন কমানোর সহজ ও কার্যকর উপায়

খাবারের একটি তালিকা তৈরি করা

ওজন কমানোর সহজ উপায়গুলোর ভিতরে প্রথম হলো আপনি সকাল থেকে রাত পর্যন্ত যে খাবারগুলো খান তার একটি আনুমানিক তালিকা তৈরি করুন। তালিকা অনুযায়ী আপনার সময়মত খাবারগুলো খাওয়ার অভ্যাস করুন। প্রতি বেলায় ভাত খাওয়ার অভ্যাস পরিহার করা উচিত। আমরা বাংলাদেশের মানুষ ভাত ছাড়া থাকতে পারি না। আপনার যদি মনেহয় ভাতছাড়া থাকতে পারছেন না তাহলে ভাতের পরিমান কম করে খাবেন। সাথে পানি পানের অভ্যাস বাড়াতে হবে। ভাত খাওয়ার আগে একগ্লাস পরিমান পানি খেতে নিতে পারেন এতে করে আপনার ক্ষুদা অনেকটা কমে যাবে, আপনি পানি খাওয়ার কারনে আপনার ভাত খাওয়ার পরিমান কমাতে সাহায্য করবে। কখনোই পেটভরে এমন করে খাবেন না যাতে করে উঠে নড়াচড়া করতে অনুবিধা হয়। এমনভাবে খাবার খাবেন যেন পেটের তিনভাগের একভাগ পরিমান জায়গা খালি থাকে।

দিনের বেলার ঘুম পরিহার করা | ওজন কমানোর সহজ উপায়

আমাদের অনেকে দিনে ঘুমাতে অভ্যস্ত, কিন্তু ‍দিনের ঘুম শরীরের জন্য অনেক ক্ষতিকর। বিশেষ করে সকালে ঘুমের অভ্যাস পরিহার করতে হবে। সারারতে আপনি এমনভাবে ঘুমের অভ্যাস করবেন যেন রাতেই ৭ থেকে ৮ ঘন্টা ঘুম হয়ে যায়। দিনের ঘুম শরীরের ওজন দ্রুত বাড়াতে অনেক ভুমিকা রাখে।ওজন কমানোর সহজ ও কার্যকর উপায়ের ভিতরে দিনের বেলা ঘুম নিয়ন্ত্রন করা এটা আপনাকে করতেই হবে।

সকালে ঘুমথেকে উঠার চেষ্টা করা

সকাল সকাল ঘুম থেকে উঠা অনেক ভালো উপকারি। সকালের নির্মল বাতাস আমাদের শরীরের জড়তা দূর করে দেয়। আমরা যারা মুসলমান তারা যদি ফজরের নামজের অভ্যাস করি তাহলে সকালে ঘুম থেকে উঠা আমাদের জন্য কোন ব্যপার মনে হয় না। আমাদের নতুন প্রজন্মের এমন অভ্যাস হয়ে গেছে তারা রাতের অনেক অংশ না ঘুমিয়ে কাটিয়ে দেয়, শেষরাতের দিকে ঘুমিয়ে যায় এতে করে সকালে উঠা তাদের দ্বারা আর হয় না। আমরা প্রতিদিন সকালে ঘুম থেকে উঠে যদি ৩০ থেকে ৪৫ মিনিট হাটার অভ্যাস করি তাহলে সকালবেলার হাটার কারনে আমাদের অনেক ক্যালরি খরচ হবে। যা আমাদের ওজন কমানোর জন্য সহায়তা করবে। তাই সকলে প্রতিদিন সকালে হাটার একটা অভ্যস তৈরি করুন দেখবেন আপনার শরীর অনেক ভালো থাকবে।

ঘনঘন পানি খাওয়ার অভ্যাস করা

আমরা অনেকে আছি যারা খুব কম পরিমান পানি পান করি। আমাদের শরীরে কিছুক্ষন পরপর পানি দরকার পড়ে যেটা শরীরের অনেকটা জ্বালানীর কাজ করে থাকে। পানি খেলে শরীরের অপ্রয়োজনীয় জিনিসগুলো মুত্র এবং ঘামের সাথে বেরিয়ে যায়। যেটা আমাদের শরীরের ওজন কমানোর জন্য খুবই কার্যকর।


সকাল সন্ধ্যা ব্যামের অভ্যাস তৈরি করা

আমরা এমন অনেক ছোটখাটো অনেক ব্যয়াম করতে পারি কিন্তু অভ্যাস না থাকার কারনে আমরা ভুলে যাই। আমরা এখন অনেক ব্যামের নিয়ম ইউটিউব থেকে দেখে নিতে পারি। সে অনুযায়ী আমরা যদি অল্প অল্প ব্যয়াম করার অভ্যাস করি সকাল ও সন্ধ্যায় তাহলে আমাদের শরীরের ওজন কমানোর জন্য অনেক কাজে দিবে।

শারীরের পরিশ্রম বাড়ানো

আমরা অনেকে অফিসে-আদালতে এমন কিছু কাজ করি যাতে আমাদের কায়িক পরিশ্রম হয় না বললেই চলে। আমরা যে পরিমান খাবার খাই তা এ পরিশ্রম দ্বারা শেষ না হয়ে আমাদের শরীরে বাড়তি ক্যালরি আকারে জমা হয়। পরবির্তীতে এগুলো চর্বি হয়ে শরীরের অনেক ক্ষতি সাধন করে থাকে। বিশেষ করে আমাদের হৃদপিন্ডে ব্লক তৈরি করে, উচ্চ রক্তচাপের পরিমানকে বাড়িয়ে দেয়।

নিজের কাজ নিজে করার অভ্যাস তৈরি করা

আমাদের সকলের বাসায় এমন কিছু কাজ থাকে যেগুলো আমরা কাজের লোক নিয়ে করে থাকি। যেমন- মেঝে মুছা, হাড়িপাতিল ধোয়া, রান্না করা ইত্যাদি। এ কাজগুলো যদি আমরা লোক না নিয়ে নিজেরা করি তাহলে পেটে চাপ পড়বে এতে করে ভুড়ি বা মেদ কমে যাবে। আর আমরা যারা ছেলে বা পুরুষ মানুষ তারা নিজেদের কাপড় ধোয়া, নিজের রুম গুছানো, সকাল-বিকাল যখন সময় পাওয়া যায় তখন শারিরিক পরিশ্রম হয় এমন খেলাধুলা করা, যেমন- ফুটবল, ক্রিকেট ইত্যাদি।


উপরে ওজন কমানোর সহজ ও কার্যকর উপায় নিয়ে যে আলোচনাগুলো করা হলো, এগুলো যদি সঠিকভাবে মেনে চলা যায় আশা করি আপনি আপনার ওজন খুব সহজ উপায়ে নিয়ন্ত্রন করতে পারবেন। তবে এটা সমসময় মাথায় রাখবেন যে, আপনি স্বাস্থ্য কমাবেন। আর যদি কখনো বেশি খাবার খেয়ে ফেলেন তাহলে সেদিন একটু শারিরিক পরিশ্রম বেশি করে করবেন। আপনাদের যদি ওজন কমানোর সহজ ও কার্যকর উপায় নিয়ে কোন প্রশ্ন থাকে আমাদের অবশ্যই জানাবেন। ধন্যবাদ সকলকে।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

উপায় কী এর নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url