পরীক্ষায় ভালো রেজাল্ট করার কার্যকর উপায়

পরীক্ষায় ভালো রেজাল্ট করার কার্যকর উপায়- পরীক্ষা কথাটি শোনা মাত্র অনেকের বিরক্ত লাগে। অনেকের পরীক্ষা আবিষ্কারককে খুজে বের করে সাজা দিতে চায়। অনেকে আবার ব্যাতিক্রম তাদের কাছে পরীক্ষা দিতে ভালোই লাগে। তারা পরীক্ষার মাধ্যমে নিজেকে যাচাই করার সুযোগ পায় এটা মনে করে।

যাই হোক পড়াশোনা করতে মন চায় বা না চায় কিন্তু পরীক্ষা দিতে হবে এটা আমরা সকলে জানি। অনেকে আবার অল্প পড়েও ভালো রেজাল্ট করে। অনেকে দেখাযায় দিনেরাতে অনেকটা সময় পড়াশোনা করতেই থাকে তারপরেও ভালো রেজাল্ট হয় না। শুধু পড়াশোনা করলেই হবে না কিছু নিয়মকানুন মেনে চলা যাতে করে রেজাল্ট অনেক ভালো হবে।

আরো পড়ুনঃ ক্যাপাসিটর কাকে বলে? ক্যাপাসিটর গ্রুপিং কেন করা হয়।

যারা আজকে আমাদের এ পোস্ট পড়বেন আশাকরি এখান থেকে পরীক্ষায় ভালো রেজাল্ট করার কার্যকর উপায় শিখবেন যেটা আপনার রেজাল্ট ভালো করার জন্য খুব ভালো কাজে দিবে। তো চলুন শুরু করা যাক-

পরীক্ষায় ভালো রেজাল্ট করার কার্যকর উপায়

১. দৃঢ় মনোবল

আপনি যে পরীক্ষায় ভালো রেজাল্ট করবেন এর জন্য আপনাকে এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে হবে যে কোন মূল্যে আপনার পরীক্ষায় ভালো রেজাল্ট করতেই হবে। আর আপনি যখন এটা মাথায় আনতে পারবেন আপনার পড়াশোনা অবশ্যই আগের চেয়ে ভালো হবে। আমাদের গুগল নিউজ অনুসরন করুন।

২. রুটিন করে পড়া

আপনি যেই ক্লাসে অধ্যায়ন করেন না কেন আপনার পড়াশোনার জন্য একটা রুটিন তৈরি করা উচিত। আপনি যদি নিয়মিত রুটিন দেখে পড়াশোনার অভ্যাস করতে পারেন তাহলে দেখবেন যেদিন আপনি পড়তে বসবেন না সেদিন আপনার অনেক খারাপ লাগবে। প্রতিটি বিষয়ের জন্য সময় ভাগ করে নিবেন, যে বিষয়টি আপনার কাছে কঠিন মনেহয় সে বিষয়টিতে বেশি পরিমান সময় ‍দিবেন। সময় দেখে পড়বেন, যে প্রশ্নটির উত্তর পড়বেন তার জন্য একটা সময় বেছে নিবেন। যেমন- আমি এ উত্তরটি ৫মিনিটে শেষ করে ফেলবো। তাহলে দেখা যাবে উত্তরটি ৫মিনিটে না হলেও ৬মিনিটে অবশ্যই হয়ে যাবে। পরীক্ষায় ভালো রেজাল্ট করার কার্যকর উপায়ের ভিতরে রুটিন করে পড়ার অভ্যাস করা খুবই কার্যকর।

৩. সুন্দর পরিবেশ তৈরি করা

আপনার পড়াশোনায় মনোযোগ আসার জন্য সুন্দর ও শান্ত পরিবেশ থাকা জরুরি। তাই যখন পড়তে বসবেন তখন দরজা বন্ধ করে নিরিবিলি হয়ে পড়বেন। আপনার পড়াশোনা ছাড়া অন্যকাজ থাকলে আগে সেগুলো করে ফেলবেন, না হলে পড়তে বসলে আপনার কোন কাজের কথা মনে পড়ে যেতে পারে। আপনার পড়ার টেবিলটি সবসময় সাজিয়ে গুছিয়ে রাখবেন। ভালো পরিবেশ পড়াশোনা হওয়ার জন্য অনেকটা ভালো কাজে দেয়।

আরো পড়ুনঃ শবে বরাতের ফজিলত ও শবে বরাতের নামাজের নিয়ম।

৪. সোস্যাল মিডিয়া থেকে দূরে থাকা

আমরা বর্তমানে পরীক্ষায় ভালো রেজাল্ট না হওয়ার পিছনে যে বিষয়গুলো কাজ করে তার ভিতরে অন্যতম কারন হলো, সোস্যাল মিডিয়ায় সংযুক্ত হয়ে যাওয়া। এমন হয়ে গেছি ফেসবুক, ইউটিউব, ফ্রি-ফায়ার, পাবজি সহ অন্যান্য আরো মাধ্যমগুলোর সাথে এমনভাবে জড়িত হয়ে গেছি যে আমরা এর থেকে বের হতে পারতেছিনা। তবে আমরা যদি ভালো ফলাফল করতে চাই তাহলে পড়ার সময় অন্তত এসকল মাধ্যম থেকে বিরত থাকতে হবে। পড়তে বসলে মোবাইলটা সাইলেন্ট করে উপুর করে রাখতে হবে যাতে করে একটা এসএমএস এলও যেন চোখে না পড়ে , কারন একবার মোবাইলের আলো জ্বললেই মোবাইলটা হাতে নিতে হবে। আর একবার মোবাইল হাতে নিলে আবারো আপনার সোস্যাল মিডিয়ায় যুক্ত হওয়ার সম্ভবনা বেড়ে যাবে।

৫. পড়াশোনার মাঝে মাঝে বিরতি প্রদান

আপনি একাধারে যদি পড়তেই থাকেন একটা সময় আপনার বিরক্ত লাগবে। পড়ার প্রতি অনিহা তৈরি হবে, যেটা পরবর্তিতে আপনার পড়ালেখার বাধা তৈরি করবে। পরীক্ষায় ভালো রেজাল্ট করতে হলে আপনার পড়াশোনার মাঝে বিরতি প্রদান করতে হবে। আপনি ১ ঘন্টা পড়ার পর ১০ মিনিট বিরতি দিতে পারেন। এতে করে আপনার আবার যখন পড়তে বসবেন তখন মনেহবে আপনি বুঝি নতুন করে কেবল পড়তে বসছেন।

৬. গুরুত্বপূর্ন প্রশ্নগুলো খুজে বের করা 

আমাদের কিন্তু পুরো বই থেকে প্রশ্ন হয় না। প্রতিটা বইয়ে এমন কিছু অধ্যায় থাকে যেখান থেকে প্রতিবার কমবেশি প্রশ্ন হয়েই থাকে। আপনাকে সেই গুরুত্বপূর্ন অধ্যায়সমূহ খুজে বের করতে হবে। যে প্রশ্নগুলো বারবার পরীক্ষায় আসছিলো সেই প্রশ্নগুলো বেশি বেশি পড়তে হবে। তবে পড়ার ক্ষেত্রে এটা মনে রাখবেন মুখস্থ পড়া না পড়ে বুঝে বুঝে পড়ার অভ্যাস তৈরি করা। প্রতিষ্ঠানের লাইব্রেরীতে আগের সালের প্রশ্ন পাওয়া যায় সেখান থেকে প্রশ্নগুলো নিয়ে আপনারা গুরুত্বপূর্ন প্রশ্নগুলো পড়ে রাখতে পারেন। পরীক্ষায় ভালো রেজাল্ট করার কার্যকর উপায়ের ভিতরে পূর্বের প্রশ্নগুলো পর্যালোচনা করা খুবই জরুরি। আপনি যদি পরীক্ষায় ভালো রেজাল্ট করতে চান তাহলে আগের সালের প্রশ্নগুলো খুজে খুজে পড়ুন।

আরো পড়ুনঃ মন ভালো করার সহজ উপায়-২০২২।

৭. অনুপ্রেরনামূলক গল্প পড়া

আপনি এমন হাজারো লোক আছে যারা অনেক কষ্ট করে পড়াশোনা করে সফলতা পেয়েছে, এমন লোকজনদের গল্প পড়তে পারেন তাদের গল্প পড়লে নিজের ভিতর একটা সৃজনশীলতার ভাব চলে আসবে যেটা আপনারদের ভালো রেজাল্ট করার জন্য অনেক কাজে দিবে। আর আরেকটি কথা মনে রাখবেন আপনি যখন একটা পড়া শেষ করবেন নিজে নিজেকে অনুপ্রেরনা দিবেন, বলবেন এত তাড়াতাড়ি এত বড় একটা পড়া শেষ হয়ে গেল? আমার দ্বারা অবশ্যই ভালো পরীক্ষায় রেজাল্ট হবেই হবে।

৮. মস্তিস্ককে বিরতি প্রদান

আমরা যখন সারাদিন অনেক কাজ করে ক্লান্ত হয়ে যাই তখন আমাদের ঘুম ঘুম অনুভূত হয়। তখন দেখা যায় আমরা সুযোগ পেলেই ঘুমিয়ে যাই। ঘুম আমাদের শরীরের যাবতীয় ক্লান্তি ভাব দূর করে দেয়। তাই নিজেকে সুস্থ রাখতে প্রতিদিন কমপক্ষে ৭ থেকে ৮ ঘন্টা ঘুমানোর অভ্যেস করুন। আপনার শরীর মন ভালো থাকলে পড়ালেখা করতে কোন সমস্যাই হওয়ার কথা নয়। পরীক্ষায় ভালো রেজাল্ট করার জন্য শুধু পড়লেই হবে না মাঝে মাঝে মস্তিষ্ককে বিরতি প্রদান করতে হবে।

৯. প্রতিযোগীতা করে পড়ালেখা করা

আমরা জানি একা কোন কাজ করেই ভালো লাগে না। তখনি আমাদের কোন কাজ করতে ভালো লাগে যে কাজে আমরা প্রতিযোগী পাই। আপনার বাসার পাশে যদি আপনার বয়সের অথবা আপনার ক্লাসের এমন কেউ থকে তার সাথে প্রতিদিনের পড়াগুলো ভাগকরে নিয়ে পড়তে পারেন। এতে করে সেই বন্ধুটি যদি কখনো আপনার চেয়ে ভালো ফলাফল করে আপনি হিংসার ফলেও পড়াশোনা বাড়িয়ে দিতে পারেন। এতেকরে আপনার পরীক্ষায় রেজাল্ট ভালো হয়ে যাবে।

১০. লেখার প্রতি মনযোগী হওয়া

আমরা অনেকে এমন আছি যাদের সহজে পড়া মনে থাকে না। এমন যারা আছেন, তারা পড়ার পাশাপাশি লেখার অভ্যাস তৈরি করতে পারেন। আপনি লেখার অভ্যাস করলে দেখবেন সেই পড়াটা আপনার অনেকদিন পর্যন্ত মনে থাকবে। তাই শুধু পড়লে হবে না তার পাশাপাশি লিখার অভ্যাস করবেন।

আজকে আপনাদের মাঝে পরীক্ষায় ভালো রেজাল্ট করার কার্যকর উপায় নিয়ে আলোচনা করালাম। আশা করি পোস্টটি আপনার অনেক ভালো লাগছে।  আপনারা যারা উপরের আলোচনা পড়লেন আমরা যে যে ধর্মের হই, সেই ধর্মটাকে মেনে চলবো। অনেক সময় ধর্মজ্ঞান আমাদেরকে ভালো কিছু ধারনা দেয় যেটা আমাদের মস্তিস্ককে ভালোরাখে এবং পড়তে বসলে আপনার পড়াশোনা অনায়াসে ভালো হয়ে যাবে।

আরো পড়ুনঃ

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

উপায় কী এর নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url